যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে শোক র্যালি, ক্যাম্পাসে অবস্থিত বধ্যভূমিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টায় বৈশাখী চত্ত্বর থেকে বাকৃবি বধ্যভূমি পর্যন্ত শোক র্যালি শেষে বধ্যভূমিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী এর সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর কার্যালয়, শিক্ষক সমিতি, প্রভোস্ট পরিষদ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম, অফিসার পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নীল দল, মহিলা সংঘ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সাংবাদিক সমিতি, কর্মচারী পরিষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকতা, কর্মচারি বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে সকাল সাড়ে ৯টায় বাকৃবি কমিউনিটি সেন্টারে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস স্মরণে ‘আমাদের আত্মত্যাগ- আমাদের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্ত্বে এবং সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী এবং প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল হায়দার। এছাড়াও ২৫ মার্চ কালো রাতের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার।
এসময় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, এমন আয়োজন করে হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীতে আর নেই। যেসব সাম্প্রদায়িক শক্তি বাঙালির মুক্তির অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করে এমন পৈশাচিক জঘন্য হত্যাকান্ড চালিয়েছিল তারা এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে হলে আমাদেরকে সংঘবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের নিজেদেরকে ব্যবহার করে যেন আমাদের কোন ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় উপাসণালয় গুলোতে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :