স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ উপলক্ষে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিক গণের ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস আলোজিত এবং জাতীয় পুষ্ঠি সেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এসময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ পরীক্ষিত কুমার পাড়, মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. রেদাউর রহমান খান, মেডিকেল অফিসার সিভিল সার্জন কার্যালয় ডাঃ ফয়সল আহমেদ, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ জাবেদ হোসেন, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ এমদাদুল হক, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ন হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমান মত ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ান। মনে রাখবেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল শুধুমাত্র অপুষ্ঠিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল ভরাপেটে খাওয়ানো ভাল। ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ন নিরাপদ। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ালে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোন ঝুকি নেই। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করবেন। ভ্রমনে থাকাকালীন সময়েও আপনি রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত ক্যাম্পেইন কেন্দ্র থেকে আপনার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন। অসুস্থ শিশুকে স্বাস্থ্যকর্মী/চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। কোন গুজবে কান দিবেন না। নিজে সচেতন থাকুন অন্যকে সচেতন করুন।
তিনি জানান, জেলার মোট জনসংখ্যা ৫২,২৮,৮৪৪ জনের (সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত) মধ্যে ০৬-১১ মাস বয়সী ৮৮,৪৭০ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭,৫৯,৭৬৯ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এক নজরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেই উদযাপন উপলক্ষে তথ্যাবলী- সিটি কর্পোরেশন সংখ্যা-১টি, মোট উপজেলার সংখ্যা-১৩ট, মোট পৌরসভার সংখ্যা-২টি, মোট ইউনিয়নের সংখ্যা-১৪৬টি, মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা-৪৩৮টি, মোট টিকাদান কেন্দ্রের সংখ্যা-৩৫১৯, মোট স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা-৭০৩৮, প্রথম সারির সুপারভাইজার সংখ্যা-৪৩৮, দ্বিতীয় সারির সুপারভাইজার সংখ্যা-১৪৮। সকল ক্যাম্পেইন কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :