ত্রিশালের মুক্তিযাদ্ধা মতিন মাস্টার হত্যা মামলায় ছয় জনের মৃত্যুদন্ড ও দুই জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের ত্রিশালের মুক্তিযাদ্ধা মতিন মাস্টার হত্যা মামলায় ছয় জনের মৃত্যুদন্ড ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলো ত্রিশালের মাগাটিপাড়ার মৃত ইছব আলী আকন্দের ছেলে মোবারক হোসেন, জামতলী মোক্ষপুরের মৃত আ. ছোবহানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণপুরের পক্কু মিয়ার ছেলে রুবেল, চান মিয়ার ছেলে সেলিম, তোফাজল হোসেনের ছেলে সোহাগ, মৃত ইমান আলীর ছেলে মো. ইদ্রিছ। আর যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলো ত্রিশালের রায়মনির আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন রবেল ও মাগাটি পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুলাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) বিকেলে ২য় অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ জুলাই রাতে ত্রিশালের মঠবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও খাগাটি জামতলী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন (৬৫) মাছের ফিসারিতে রাত্রি যাপনের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরদিন ভোরে ফিসারীর পানিতে গলা কাটা লাশ ভাসতে দেখা যায়। এ ঘটনায় ঐদিনই নিহতের বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সমাজের একজন সচেতন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারি ছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাষ্টার।
মামলায় ২৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ছয়জনের মৃত্যুদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিযুষ কান্তি সরকার ও আসামী পক্ষের আব্দুল গফুর, নুরুল হক ও শফিকুল্লাহ এ মামলাটি পরিচালনা করেন।