রঞ্জন মজুমদার শিবু:“সময়মতো নিলে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের হবে উন্নতি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উদ্যোগে ১৭-২২ ডিসেম্বর পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে থানারঘাটস্থ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়ড়া উড়িয়ে সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস। পরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষিত হল মা। মাকে যদি আমরা সঠিক ভাবে নার্সিং বা সেবা দিতে পারি তাহলে আমাদের যে প্রজন্ম আসবে সে প্রজন্ম ভাল প্রজন্ম হবে। আর এ ক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তা হলো আপনারা। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি যতটা নিষ্ঠাবান হবেন তত তাড়াতাড়ি আমাদের বাংলাদেশের উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, আমরা এমডিজি ও এসডিজির যে টার্গেট তা আমরা মোটামুটি অর্জন করেছি। এক্ষেত্রে আপনারা গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা পালন করছেন। এর পরেও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলি আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সিজারিয়ান ডেলিভারী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকি। এবিষয়ে মায়েদের সচেতন করতে হবে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা পালন করতে পারেন আপনারা। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। বেতন পাই চাকরি করি এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশকে ভালোবেসে কাজ করতে হবে। যেমন মাহান মুক্তিযুদ্ধে কোন স্বার্থ ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছেন। শুধুমাত্র দেশকে ভালবেসে দেশের স্বাধীকার স্বাধীনতার জন্য তারা বিনা স্বার্থে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা আসবে তারা আরো বেশী সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। তাই আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করি তাহলে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের কাছে ঋনি থাকব। বিশ্বের অনেক দেশেই জায়গার তুলনায় জনসংখ্যা অনেক কম আর আমাদের দেশে যেখানেই যাবেন মানুষ আর মানুষ। তিনি বলেন, আমরা যদি উন্নয়নকে গতিশীল করতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে রুপকল্প ২০৪১ আমাদের স্বাধীনতার চেতনার যে আদর্শ সে গুলি যদি বাস্তবায়ন করতে চাই আমাদের জনসংখ্যা কমানোর কোন বিকল্প নাই। আমাদের দেশের যে মাটি পৃথিবীর কোথাও এত উর্বর মাটি নেই। এত মানুষের মধ্যেও খাদ্যের কোন সংকট নাই। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মায়েদের সেবা করতে হবে সচেতন করতে হবে। আমাদের যে সমস্যা তা মায়েদের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা মাঠকর্মীরাই পারে। সরকার মাঠকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য লোক দিচ্ছেন। আসুন সবাই মিলে কাজ করি। দেশের ও দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করি।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুল কদ্দুছ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কাজী মাহফুজুল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ক্লিনিক ডাঃ রোকসানা ইয়াসমিন। সঞ্চালনায় ছিলেন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল সিদ্দিকী। এসময় এফডব্লিউএ, এফডব্লিউভি, এফপিআই সহ জেলা উপজেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :