ধোবাউড়ায় ইট ভাটার তাপ ও বিষাক্ত গ্যাসে পুড়েছে ফসলী জমির ধান


swadeshsangbad প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৬, ২০২৩, ১:২৯ অপরাহ্ন / ৬২৩
ধোবাউড়ায় ইট ভাটার তাপ ও বিষাক্ত গ্যাসে পুড়েছে ফসলী জমির ধান

ধোবাউড়া প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ইট ভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে পুড়েছে কৃষকের ফসলী জমির ধান। এতে প্রায় অর্ধশত একর জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশংকায় রয়েছেন সাধারণ কৃষক। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় কৃষক। উপজেলার গোয়াতলা বাজারের পাশে অবস্থিত সততা ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের সোনালী ফসল। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তারা। অনেক কৃষক ঋন নিয়ে ধান রোপন করেছেন। ঋন কিভাবে পরিশোধ করবেন সেই চিন্তাই মাথায় ভাত তাদের। আবাসিক এলাকা, বাজার ও ফসলী জমিতে ইট ভাটা স্থাপনের বিধি না থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাজারের পাশেই ফসলি জমিতে নির্মাণ করা হযেছে সততা ইট ভাটার কার্যক্রম। ফলে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমির ফসল।স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন আশেপাশের মানুষ। কৃষক হারুন মিয়া বলেন, আমার একমাত্র সম্বল ৯ কাটা জমি পুড়েছে। জমির ফসল দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতাম। এখন আমি কিভাবে চলবো। কৃষক এমদাদুল হক খান পাঠান বলেন, আমার এক একর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। আমর মত আরও অসংখ্য কৃষকের ফসল পুড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলি জমি পরিদর্শন করে উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন, কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার তুষার। ধান পুড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সততা বিক্রস এর ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, ইট ভাটার গ্যাসে নয় রোগ কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন হতে পারে।এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ ফসল পরিদর্শন করেছি, কৃষকদের ক্ষতিপূরণ এর বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।