নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করাতে হবে-বিভাগীয় কমিশনার


swadeshsangbad প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৯, ২০২৩, ৪:০১ অপরাহ্ন / ৬৩
নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করাতে হবে-বিভাগীয় কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার : ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) জেলা পরিষদের আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া এর সভাপতিত্বে সংস্কৃতি-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ময়মনসিংহে সাহিত্য চর্চা ও বিকাশ সাধনের জন্য একটি সাংস্কৃতিক স্থাপনা বা সাহিত্য পল্লী করার দাবি করছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এছাড়াও নতুন প্রজম্মকে স্কুল কলেজে পাঁচটার মধ্যে ছুটি দেওয়া এবং শুক্রবার কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবি করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষা এতটা দুর্বোধ্য নয়। এ ভাষা সহজেই দেশের যেকোনও অঞ্চলের মানুষের মননকে স্পর্শ করতে পারে। নাটক সিনেমায় দেখা যায় ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষার ব্যাপক ব্যবহার। তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে রচিত হয়েছে ময়মনসিংহের লোকসাহিত্যের নানা শাখা। যেমন জারি, সারি, বাউল গান, কবি গান, পুথি পালা গান, কিচ্ছা, প্রবাদ ইত্যাদি। নতুন প্রজন্মের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করাতে হবে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতিসহ ময়মনসিংহ জেলায় রয়েছে নানা অনুষঙ্গের গৌরব। সাহিত্যের ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ একটি উর্বরভূমি। রবি ঠাকুর ও নজরুল থেকে শুরু করে বাংলা সাহিত্যের বরণীয় বহু লেখকের চরণ ছোঁয়ায় অভিষিক্ত এ জেলা। মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্ব সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নাম। এ অঞ্চলের কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠা মৈমনসিংহ গীতিকা ও ময়মনসিংহ লোকসাহিত্য সংস্কৃতি, ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাংলা একাডেমি থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক কবি ফরিদ আহমেদ দুলাল, সুরকার গীতিকার ও কবি শরিফুল ইসলাম, ছায়ানট সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি শরীফ মাহফুজুল হক আপেল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সদস্য মোঃ সরোয়ার জাহান, ময়মনসিংহ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মুখোশ নাট্য সংস্থার সভাপতি আব্দুল হক সিকদারসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীবৃন্দ।
কবি ফরিদ আহমেদ দুলাল বলেন সাংস্কৃতিক শিল্পীরা হলো আকাশের মতো। তারা মানুষের মন-মননে বাতাস দিয়ে হৃদয়কে কোমল করে এবং মন্ষ্যুত্বের বিকাশ ঘটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ময়মনসিংহ জেলায় রয়েছে বেশ কিছু সক্রিয় সাহিত্য সংগঠন। যেমন- ময়মনসিংহ জেলা সাহিত্য সংসদ, ময়মনসিংহ বিভিাগীয় সাহিত্য পরিষদ, ছড়া সংসদ, তারাকান্দা ও ত্রিশাল সাহিত্য সংসদ অন্যতম। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সদস্য মোঃ সরোয়ার জাহান বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ময়মনসিংহে ৪৭টি সংগঠনকে ৫০ – ৬০ হাজার টাকা করে এবং ৯৭ জন অসচ্ছল শিল্পীদের বাৎসরিক অনুদান প্রদান করা হয়।
সভায় মোশাররাফ করিম, আবুল মনসুর আহমেদ, ঔপন্যাসিক মুজাম্মেল হক, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, ইউসুফ শরীফ, নাসরীন জাহানসহ বিখ্যাত সাত্যিকদের বিষয়ে সংস্কৃতিকর্মীরা তাঁদেরকে স্মরণ করেন।