ফুলবাড়িয়ায় গার্মেন্টকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ


swadesh sangbad প্রকাশের সময় : মে ২৮, ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন /
ফুলবাড়িয়ায় গার্মেন্টকর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

মো: আব্দুস ছাত্তার ঃ ফুলবাড়িয়া উপজেলার কাহালগাঁও পূূর্বপাড়া গ্রামে এক গার্মেন্টসকর্মী (২৩) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঘটনার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষণের শিকার ঐ নারী।
ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা না নেওয়ায় বুধবার (২১ মে) ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন ধর্ষিতা নারী। ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার ফুলবাড়িয়া থানার ওসিকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও সংশ্লিষ্ট অফিসে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কাহালগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের মেয়ে গার্মেন্টসকর্মী গত ১৭ মে রাতে মাওনা স্মার্ট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী থেকে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়িতে করে নিজ বাড়িতে আসার পথে কাহালগাঁও ব্রীজ সংলগ্ন থেকে প্রতিবেশি মৃত ছামাদের ছেলে মনির, আবুল কালামের ছেলে বিপ্লব ও কছিম উদ্দিনের ছেলে মজিদ জোরপূর্বক তোলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর গর্মেন্টসকর্মী নারীর বেতনের টাকা, একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে চলে যায়।
কাহালগাঁও গ্রামের হাফিজ উদ্দিন বলেন, মেয়েটিকে তিন যুবক মিলে ধর্ষণ করেছে বলে মেয়ে নিজেই জানায়, ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে নতুন বাজার একটি ক্লাবে নিয়ে আসেন। বিষয়টি এলাকার সবাই জানেন।
অভিযুক্ত তিনজনই পালিয়ে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত মনিরের ভাই আসাদুজ্জামান বলেন, আমার ভাইয়ে বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন, তার সর্ম্পকে এলাকার সবাই জানেন তার চরিত্র কেমন? একাধিক বিয়ে হয়েছিল। স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে রাতে একা বন্ধের (জঙ্গল) ভিতর দেখতে পেয়ে ধরে নিয়ে আসেন নতুন বাজার ক্লাব ঘরে। পরে তার পরিবার এসে ক্ষমা চেয়ে ছাড়িয়ে নেয়।
ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, গার্মেন্টেস থেকে বাড়ি আসার পথে প্রতিবেশি তিন যুবক ভ্যানগাড়ি থামিয়ে জোরপূর্বক তোলে নিয়ে তারা ধর্ষণ করে। বেতনের ২০ হাজার টাকা একটি বাটন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর ফুলবাড়িয়া থানায় ধর্ষণের মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে ছিনতাইয়ে অভিযোগ নেয়। পরে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও মামলা নিচ্ছে না। পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করায় ধর্ষকরা ও তার স্বজনরা বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে।
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহা. রুকনুজ্জামান বলেন, মেয়েটির মা পারুল আক্তার থানায় এসে অভিযোগ করেন মনির, বিপ্লব ও মজিদ কাহালগাঁও জোড়ার ব্রীজ সংলগ্ন থেকে তার মেয়েকে আটকিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণের মালা, রোপা ব্যাচলাইট, স্বর্ণের কানের দুল, একটি এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন নিয়া যায়। তখন ধর্ষণের কোন অভিযোগ করেনি। ঘটনাটি তদন্ত চলছিল, এরমধ্যে এসপি স্যারের কাছে গিয়ে মেয়ে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।