র‌্যাবের অভিযানে চুরখাইয়ে পিতাপুত্র খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলহোতাসহ চার আসামী গ্রেফতার


swadeshsangbad প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন / ১৯৩
র‌্যাবের অভিযানে চুরখাইয়ে পিতাপুত্র খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলহোতাসহ চার আসামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের চুরখাই এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পিতা-পুত্র খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলহোতাসহ চার আসামীকে গাজীপুর এবং সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪। আজ শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে র‌্যাব-১৪ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে র‌্যাব-১৪ অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ০২ ফেব্রুয়ারী দুপুর আড়াইটা ও বিকাল সাড়ে ৪টার সময় যথাক্রমে আসামী মোঃ কামাল হোসেন (৫২), পিতা- মৃত আব্দুল আজিজ, সাং: চুরখাই, থানা- কোতোয়ালী, কামাল হোসেনের স্ত্রী মোসাঃ জাহানারা (৪০), সাং- চুরখাই, থানা- কোতোয়ালি’দ্বয়কে এবং ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন বাইপাইল থেকে কামাল হোসেনের মেয়ে জামাই আসামী মোঃ নাঈম (১৯), পিতা- নবী হোসেন, সাং- চানপুর, থানা- ফুলপুর ও ১ নং আসামী কামালের ১৫ বছর বয়সী ছেলেকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন টিএন্ডটি মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এরই প্রেক্ষিতে, ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় ভিকটিমের ছেলে রিফাত বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই কুদ্দুস চেয়ারম্যানের বাড়ীর পাশে নিজ জমিতে আবুল খায়ের হাল চাষ করছিল। এমন সময় প্রধান আসামী কামাল হোসেনের সাথে জমির মাপযোপ করা নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোঃ কামাল হোসেন অন্যান্য আসামীদের ডেকে আনে। আসামীরা সবাই ধারালো দা, চাকু, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে একত্র হয়ে আবুল খায়েরকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। আবুল খায়ের এর হাক-চিৎকারে তার ছোট ছেলে ফরহাদসহ অন্যান্য ছেলেরা এবং ভাই ও ভাইয়ের ছেলে তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলে আসামীরা সবাইকেই এলোপাথারিভাবে মারতে থাকে এবং গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আবুল খায়ের ও অন্যান্য জখমীদেরকে দ্রত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম আবুল খায়ের (৬০) ও তার ছোট ছেলে ফরহাদ হোসেন (২০) ‘দ্বয়কে মৃত বলে ঘোষণা করে। এছাড়া এই ঘটনায় আবুল খায়েরের আরেক ছেলে রিফাত হোসেনসহ আরো ২জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।