স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে মস্তকবিহীন দেহ এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে খন্ডিত মস্তক উদ্ধারের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে ১৭ বছর যাবৎ পলাতক আব্দুল কুদ্দুসকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ২০০৬ সালের মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আব্দুল কুদ্দুস (৪১), পিতা- সামসুল হক বেপারী, সাং- ভাবনাপাড়া, থানা- নাগরপুর, জেলা- টাঙ্গাইলকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন বহেরার চালা এলাকা হতে গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, ২০০৬ সালের মে মাসে অজ্ঞাতনামা আসামীরা মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানাধীন বেতুলিয়া গ্রামে এক ব্যাক্তিকে হত্যা করে নিহত ব্যক্তির পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যে তার মাথা কেটে নিয়ে অন্যত্র ফেলে দেয়। উক্ত ঘটনায় গত ২১/০৫/২০০৬ খ্রি. তারিখ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার এসআই মোঃ আঃ জলিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ০৪, তারিখ- ২১/০৫/২০০৬ খ্রি., ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উক্ত মামলায় বিচার শেষে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মানিকগঞ্জ গত ০৫/১২/২০২১ খ্রিঃ তারিখ উক্ত আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ০২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। উক্ত মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই উক্ত আসামী পলাতক ছিল। উক্ত আসামী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য নিজের নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে আপন মামাতো ভাইয়ের নাম, পিতার নাম ও মাতার নাম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকায় অবস্থান করে আত্মগোপনে ছিল। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকায় উক্ত আসামী মামুনুর হোসেন, পিতা- রহম আলী নামে নিজেকে পরিচয় প্রদান করে এবং মামাতো ভাইয়ের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরী গ্রহণ করে বসবাস করে আসছিল। উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে নাগরপুর থানায় হস্তান্তড় প্রক্রিয়াধীন।
আপনার মতামত লিখুন :