তিলক রায টুলু পূর্বধলা থেকেঃ গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করলেন পূর্বধলা আসনের সংসদ সদস্য ওযারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক, গৌরীপুর আসনের সংসদ সদস্য নাজীম উদ্দিন আহেম্মদ ও ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান।
বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ দুপর সারে ১২ টার দিকে নেত্রকোনা-৫ পূর্বধলা আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীর প্রতীক শ্যামগঞ্জ বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সারে ১০ টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পু, সহকারী সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইমরান হাবিব, সহকরী জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সোহেল প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মোস্কাফিজার রহমান ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি বলেন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে সরকার আছে। তিনি আরো বলেন, যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব হবেনা তারপরেও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব ক্ষতিপূরন দেওয়ারও ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক সারে ৯ টার দিকে শ্যামগঞ্জ বাজারের মন্ডল হার্ডওয়ার্ড ও শম্ভু মোদকের ঘরের শর্ট সাকিড তেকে আগুনের সুত্রপাত বলে এলাকাবাসী ধারনা করছে। এ সময় দোকানপাঠ বন্ধ থানায় আগুন নিভাতে বেগ পেতে হয় সাধারন জনগনের । মুহুত্বের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা আশেপাশের প্রায় ছোট বড় প্রায় শতাধিক দোকানপাট ও বাসাবাড়ী সর্ম্পন্ন ভস্মিভ’ত হয়। আগুন লাগার পর পর স্থানীয় লোকজন আগুনসনেভানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। খবর পেয়ে একে একে ফায়ার সার্ভিসের পূর্বধলা গৌরীপুর, নেত্রকোনা, ঈশ্বরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১২ টি ইউনিট আগুন নিভানোর চেষ্টা চালায় প্রায় ৪ ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রেনে নিয়েআসে। এরপর ও আগুন থেমে থেমে জ্বলতে থাকায় ফায়ার সার্ভিসের নেত্রকোনা ও গৌরীপুর ২ টি ইউনিটের সারারাত্র আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ব্যবসায়ীরা জানান ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় একশত কোটি টাকা বলে ধারনা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাছান প্রিন্স, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া নাজনীন, গৌরীপুর উপজেলা আ”লীগের সাধারন সম্পাদক সোমনাথ সাহা, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল, শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, হাইওয়ে পুলিশ, গ্রাম পুলিশসহ এলাকার হাজার হাজার জনতা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান রোজার মাসকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা তারা প্রচুর খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আসে কিন্তু আগুনের লেরিহান শিখা তাদের সর্বশ্ব নিয়ে গেছে এখন তারা পথের ফকির। আগুনের হাত থেকে তারা কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। এদিকে ২০ টি বাসাবাড়ি পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।
তারা তাদের পরনের কাপর ছাড়া আর কিছু বাচাঁতে পারেনি। অসহায় এই পরিবার গুলি অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে।
তাৎক্ষনিক তাদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি।
তবে ্এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :