স্টাফ রিপোর্টার : আর্যধর্ম জ্ঞান প্রদায়িনী সভা (ধর্মসভা) দুর্গাবাড়ী মন্দিরের আয়োজনে উৎসব মূখর পরিবেশে দুর্গাবাড়ি নাট মন্দিরে শ্রী শ্রী বাসন্তী দেবীর মহাঅষ্টমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে শ্রীশ্রী বাসন্তী দুর্গা দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও মহাঅষ্টমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় উপস্থিত ভক্তবৃন্দ মায়ের পায়ে পূস্পাঞ্জলী প্রদান করেন। রাত্রি ১০টায় সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধিপূজা শেষে রাত্রি সাড়ে ১১টায় আরতি অনুষ্ঠিত হয়। পূজার পুরোহিত ছিলেন দুর্গাবাড়ী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শ্রী অরুন ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, রামায়ণ অনুসারে, অশুভ শক্তির বিনাশের উদ্দেশ্যে শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন, যা অকাল বোধন হিসেবে খ্যাত। আর পুরাণ অনুযায়ী, চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথ বসন্ত কালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। কালের পার্থক্য হলেও আরাধনা কিন্তু দেবী দুর্গারই। শরৎকালে শারদীয়া দুর্গা পূজা, আর বসন্ত কালে দেবীর আরাধনা বাসন্তী পূজা হিসেবে প্রসিদ্ধ। উভয় পূজার রীতিও প্রায় একই। ইতিহাস বলছে, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বাসন্তী পুজোই প্রকৃত দুর্গা পুজো। যদিও একালে আশ্বিন শুক্লপক্ষের বা শরতের দুর্গা পুজোই অন্যতম প্রধান পুজোর স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু তবুও বাঙালি আদি দুর্গাপুজোকে কোনওদিনই পুরোপুরি ভুলে যায়নি। তাই এখনও বাংলার অনেক জায়গায় দুর্গা পুজোর আদিরূপ বাসন্তী পুজোর আয়োজন করা হয়। পূজার্চনা উপলক্ষে সুধিভক্তবৃন্দদের আমন্ত্রন জানিয়েছেন ধর্মসভার সভাপতি প্রফেসর বিমল কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী শংকর সাহা।