২৫ মার্চ গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ ছিল নির্মম ও নিষ্ঠুর-বিভাগীয় কমিশনার


swadeshsangbad প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০২৩, ৩:০৭ অপরাহ্ন / ১৪১
২৫ মার্চ গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ ছিল নির্মম ও নিষ্ঠুর-বিভাগীয় কমিশনার

রঞ্জন মজুমদার শিবু : ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস বলেছেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতের হত্যাযজ্ঞ ছিল অত্যন্ত নির্মম ও নিষ্ঠুর। সে রাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ২৫ মার্চের হত্যাকান্ডকে অপারেশন সার্চ লাইট হিসাবে আক্ষা দেওয়া হয়েছিল। আর এ রাতেই বঙ্গবন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এঘটনায় আমাদের যে ক্ষতি, আমাদের উপর যে অত্যাচার, নির্বিচার তার প্রতিশোধ আমাদের বাঙালি জাতি, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, আমাদের জাতির পিতা নিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরা পিছিয়ে যাইনি। জাতির পিতা যেমন আমাদের পথ দেখিয়েছেন উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ঠিক তেমনি ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছি। সকল পর্যায় থেকে আমাদের এই উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যেতে হবে। শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, অর্থনীতির সূচকে যদি আমরা তুলনা করি পাকিস্তানের চেয়ে আমরা সব সূচকে এগিয়ে আছি এখন। যদিও ৭১ সালের আগে আমরা পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে সব সূচকে পিছিয়ে ছিলাম। তাই আমাদের যে স্বপ্ন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে যেতে হবে যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা বাস্তবায়িত হয়। আসুন আমরা সেই স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্নকে ধারন করে কাজ করি ২০৪১ সালের মধ্যে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) এনামুল কবির, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম, জেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুর রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সরকার রর্বাট প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, বাঙালি জাতিকে সমুলে উৎপাটনের লক্ষ্যেই পাকিস্তানি বাহিনী ২৫ মার্চ কালো রাতে গণহত্যা চালিয়েছিল। কিন্তু আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের দুরভীসন্ধী সফল হতে দেয়নি। তারা সফল হতে পারেনি। আমরা এই হত্যাযজ্ঞের জাতীয় স্বিকৃতি চাই। এবিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিচার হওয়া প্রয়োজন। যা গোটা বিশ্ব জানবে এবং নিহত পরিবারের আতœা শান্তি পাবে। আসুন সকলে মিলে যার যার অবস্থান থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করি। মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এদিন দুপুর ১২টায় গণহত্যার উপর দুর্লভ আলোকচিত্র/প্রামাণ্যচিত্র/ভয়াবহতার চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। ২৫ মার্চের কাল রাতে নিহতদের ষ্মরণে মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য/সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। রাত ১০টা ৩০-রাত ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে ১ মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্ল্যাক-আউট পালন করা হয়।