স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১৮ মার্চ ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা। এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জবান আলী সরকার। তিনি বলেন,”বিদেশফেরত মানুষগুলোকে নিয়ে মানবিক কাজ করছে ব্র্যাক। বিদেশফেরতদের পাশাপাশি বিদেশে যেতে আগ্রহীদের নিয়েও অনেক বেশি কাজ করবার সুযোগ আছে। ব্র্যাকের মাইগ্রেশান প্রোগ্রাম এইসব নিয়ে কাজ করছে। আশা করছি এই ইউনিয়নেও অনেক ভালো কাজ করবে। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ, বিদেশফেরত অভিবাসী, ব্যবসায়ী, সমাজসেবক এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে নিরাপদ অভিবাসন ও ক্ষতিগ্রস্থ বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম কীভাবে পুনরেকেত্রীকরণের কাজ করছেন তা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ীয়া উপজেলার প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মোঃ হাদিউর রহমান। এ সময় ইউনিয়নের বিদেশফেরত কয়েকজন তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ময়মনসিংহ জেলার এমআরএসসি কোঅর্ডিনেটর মোঃ নাসিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, বিদেশ-ফেরত বাংলাদেশিরা যেন দেশে এসে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ব্র্যাক। ২০১৭ থেকে ২০২২ এই সময়ে প্রত্যাশার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন শেষে এখন দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ইম্প্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্ট্রিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় অন্তত: ১০ হাজার জন মানুষ বিমানবন্দরে সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি ৭ হাজার ৭০০ জন বিদেশ-ফেরত মানুষ যেন ফের দেশে আয় করতে পারেন সেজন্য তাদেরকে ধাপে ধাপে সহায়তা করা হবে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা এবং সারাবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিও ব্র্যাক, ১৯৭২ সালের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দেশে ও দেশের বাইরে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কর্মসূচি হল মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। ব্র্যাকের এই প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে দেশের অভিবাসনপ্রবণ জেলাসমূহে বিদেশগামী নারী ও পুরুষের মাঝে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, বিদেশফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ,অভিবাসন খাতে অ্যাডভোকেসি ও নানাবিধ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :