রঞ্জন মজুমদার শিবু : জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বলেছেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ববোধ করি শ্রদ্ধা করি। তারা আমাদের অহংকার। একজন মুক্তযোদ্ধা দ্বিতীয়বার হবে না। ছোট বাজারের এই সমাবেশ ঐতিয্যের সমাবেশ, চেতনার অংশ। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধায় নগরীর ছোট বাজার মুক্ত মঞ্চে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির চতুর্থ দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অনেক লড়াই সংগ্রাম করে আমরা এখানে এসিছি। আমাদেরকে পার্টি অফিসেও বসতে দেয় নি। ক্ষমতার লোভ না করে তা ধরে রাখতে হবে। আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্তে ধারণ করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ নৌকার সাথে আছে, আওয়ামীলীগের সাথে আছে। আর কোন ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন হবে উৎসব মুখর।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল ফজল তালুকদার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রিমন মোঃ জামায়েল সামী ও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ আলম খান (সোহেল) এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুসুর রহমান, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ’ইয়া, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফকির, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ রেজাউল হাসান বাবু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন খানম লামিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ত্রিশাল উপজেলার সভাপতি মাহবুবুল আলম মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নাজমুন নাহার মুক্তা। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :