স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের নান্দাইলে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে খুন করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে মূলহোতাসহ ২ জনক গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে আসামী মোঃ আব্দুল সাত্তার (৭০), পিতাঃ মৃত আব্দুল জলিল, সাং-বেলতৈল, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ এবং আব্দুল মমিন (১৯), পিতা- মোঃ আব্দুল সাত্তার, সাং-বেলতৈল, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানাধীন জোয়ারিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ভিকটিম মৃত আবু সাঈদ বনগ্রাম চৌরাস্তা বাজারে ওষুধ কিনতে যায়। এমন সময় বাজারে চা-পান করার জন্য বসলে আসামী মোঃ আব্দুল সাত্তার এর সাথে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে, ভিকটিমের পরিবার দীর্ঘক্ষণ যাবৎ ভিকটিমের মোবাইলে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হলে, ভিকটিমের ছেলে ভিকটিমকে খোঁজে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে, আশপাশের লোকজন মিলে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে, ভিকটিমের মোবাইলে কল বাজার শব্দ শুনতে পায়। সেই কল বাজার শব্দ অনুসরণ করে পানখেতের ড্রেনে অর্ধেক মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় ভিকটিমকে খুজে পায়। পরবর্তীতে ছায়া তদন্ত এবং গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত আসামীসহ ৩/৪ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভিকটিমকে খুন করে । এ ঘটনার পর আব্দুল সাত্তার ও তার পরিবারের লোকজন এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আপনার মতামত লিখুন :