স্টাফ রিপোর্টার : সোমবার ৭ কার্তিক (২৪ অক্টোবর) শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা বা কালীপূজা। কালী পূজা হিন্দু ধর্মের একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব যা শ্যামা পূজা বা মহীনসা পূজা নামেও পরিচিত। বাঙালীদের জন্য কালীপূজা এক বিশেষ স্থান নিয়ে থাকে আর দুর্গাপূজার পর কালীপূজা বৃহৎ ভাবে আয়োজন করা হয়। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে হয় কালী পুজো বা শ্যামা পুজো বা শক্তির আরাধনা করা হয়। শ্যামা মায়ের আরাধনায় যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, তাই তার চেষ্টা চলে জোড়কদমে। কড়া নিয়ম বিধির মধ্যে সারা রাত আরাধনা হয় কালী ঠাকুরের। যজ্ঞ, বলি ছাড়াও আরও অনেক কিছুরই আয়োজন থাকে এই পুজোয়। ভক্তিভরে মা কালীর আরাধনা করলে সকল ভয় দুর হয়, আরোগ্য লাভ করা যায়, তন্ত্র-মন্ত্রের প্রভাব সমাপ্ত হয়।
হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। মন্দিরে তো বটেই, এছাড়াও যাদের বাড়িতে কালীপুজো হয়, তারাও বেশ কিছুদিন আগে থেকেই লেগে পড়েন কালী পুজোর কাজে। বাংলায় কালীপুজোকে দীপান্বিতা পুজো বা দীপাবলিও বলা হয়ে থাকে। যদিও অনেকে দীপাবলিতে লক্ষ্মী -গণেশের পুজো করেন।
পৌরাণিক কাহিনী অণুসারে, পুরাকালে গোটা পৃথিবীতে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই অসুর। দেবতারাও এই ভয়ঙ্কর দুই অসুরের ভয়ে স্বর্গ ত্যাগ করেন। দেবলোক থেকে বিতাড়িত হন দেবরাজ ইন্দ্র। অত্যাচার থেকে নিস্কৃতি পেতে দেবরাজ ইন্দ্র শরণাপন্ন হলেন দেবী পার্বতীর। দেবী পার্বতী শুম্ভ এবং নিশুম্ভ বধের জন্য নিজ শরীরের কোষ থেকে অন্য এক ভয়ঙ্করী দেবী সৃষ্টি করেন, দেবী কৌশিকী। এই দেবী কৌশিকী কৃষ্ণ বর্ণ ধারণ করেন, যা দেবী কালীর আদিরূপ। পরে এক এক করে সব অসুরকে বধ করেন মা কালী।
আপনার মতামত লিখুন :