স্টাফ রিপোর্টার: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বিদ্যাদেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত-অনুরাগী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে মন্দির প্রাঙ্গন। বিদ্যাদেবীর কৃপালাভের আশায় শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশন সহ বিভিন্ন মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পারিবারিক ভাবে ঘরে ঘরে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন রঙিন পোশাক পরিধান করে দল বেঁধে সকলে এসে উপস্থিত হন রামকৃষ্ণ মিশন সহ অন্যান্য মন্দিরে। শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থীদের কাছে এ পূজার আনন্দ অন্যরকম। ধর্মীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজামন্ডপে পূজার্থীরা দেবীর সামনে মায়ের পায়ে ভক্তি সহকারে পূস্পাঞ্জলী প্রদান করেছেন। এদিন সকালে রামকৃষ্ণ মিশনে পূজা শেষে শিশুদের হাতে খড়ি দেন ও পুস্পাঞ্জলী মন্ত্র পাঠ করান রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী ভক্তিপ্রদানন্দ মহারাজ। পূজারী ছিলেন ভ্রম্যচারী গুঞ্জন মহারাজ, তন্ত্র ধারক শ্রীমৎ স্বামী কল্যাণনন্দজী ইমন মহারাজ। রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমে পুজান্তে উপস্থিত ভক্তবৃন্দদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং বিকেলে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা/বেদগীতা মন্ত্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, সন্ধায় আরতি ও ভজন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে সকালে প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুজা উদ্যাপন পরিষদে নেতৃবৃন্দ শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। জেলার সকল পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উলে¬খ্য হিন্দু মতে দেবী সরস্বতী হলেন বিদ্যা, জ্ঞান, শিল্পকলা, সঙ্গীত ও সাহিত্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই দিন থেকে শীত ঋতুর অবসানে বসন্তের শুভ আগমন বার্তা ধ্বনিত হয়। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতেই ব্রহ্মার মুখ গহ্বর থেকে সরস্বতীর সৃষ্টি বলে পুরাণে বর্ণিত আছে। সেই কারণে এই দিনে সরস্বতী পুজোর বিধান রয়েছে শাস্ত্রে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেল করে স্বরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :