পুলিশ কনষ্টেবল হত্যা মামলায় জড়িত আসামী ফরিদ গ্রেফতার


swadeshsangbad প্রকাশের সময় : মার্চ ৯, ২০২৩, ৩:২৪ অপরাহ্ন / ১১০
পুলিশ কনষ্টেবল হত্যা মামলায় জড়িত আসামী ফরিদ গ্রেফতার

স্টাপ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ্ কামাল আকন্দ, পিপিএম (বার) জানান, গত ২৫ই ফেব্রুয়ারি/২০২৩ শনিবার দুপুরে কোতোয়ালী থানাধীন বাদে কল্পা গ্রামের আবুল হোসেনের মেহগনি বাগান হতে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত কনস্টেবল সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। তিনি গত ইং ২৪/০১/২০২৩ তারিখ কর্মস্থল হতে গড় হাজির ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হযেছিল তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২), পিতা-নুরুল হক, মাতা-হাফিজা খাতুন, স্বামীমৃতঃ সাদ্দাম হোসেন, সাং বাঘের কান্দা, থানা কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্ত কালে জানা যায় যে, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময় চাকরির কর্মস্থল হতে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অতিবাস/গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। সাদ্দাম বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য পিতা-মাতা সহ তাহার ভাই’কে বিরক্ত করতো। ঘটনার দিন ২৪/০২/২০২৩ তারিখ সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতা-মাতাকে লাঞ্ছিত করে। খবর পেয়ে তাহার বড় ভাই মোঃ হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। একই তারিখ রাত ১১ টায় তারা ঘটনাস্থল আবুল হোসেনের মেহগনি বাগানে পূর্বে ধৃত আসামি হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ গ্রেফতারকৃত আসামী ফরিদ অবস্থান নিয়ে ভিকটিম সাদ্দাম’কে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সাদ্দাম কেন তাহার পিতা-মাতা’কে লাঞ্ছিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দাম এর গলায় আসামীরা রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) নিরুপম নাগ অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামী মোঃ ফরিদ (২২), পিতা-মোঃ আলাল উদ্দিন, সাং-হাসিবাসি, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে ইং ৯/০৩/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন বাঘের কান্দা সাকিনস্থ এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।