স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মমতাজ উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ কর্তৃক গ্রেফতার করেছে।
গত ২৫ মার্চ/২৩ ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানাধীন আকুয়া চুকাইতলা এলাকায় একজন সাবেক সেনা সদস্য হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে মর্মে সংবাদ পাওয়ার পরপরই র্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি এর একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ছায়া তদন্ত, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে জোর তৎপরতা শুরু করে। পরবর্তীতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় এবং ঘটনার সহিত জড়িত এজাহারনামীয় প্রধান আসামি মোঃ রেজাউল করিম (৬২), পিতা- মৃত হোসেন আলী, সাং-খামারহাটি, থানা-পূর্বধলা, জেলা-নেত্রকোনা, বর্তমান সাং-আকুয়া চুকাইতলা, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নেত্রকোনা জেলার সদর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, সাবেক সেনা সদস্য ভিকটিম নিহত মমতাজ উদ্দিন (৫৮) এবং গ্রেফতারকৃত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রেজাউল করিম (৬২) দের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে তাদের বসত বাড়ীতে বৃষ্টি পানি যাওয়ার জন্য পাইপ লাইন বসানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জেরে গত ২৫ মার্চ সকালে ভিকটিম নিহত মমতাজ উদ্দিনের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ রেজাউল করিম ও তার ছেলে শেখ মাহমুদুল হাসান হৃদয়, শেখ মাকসুদুল হাসান সাগর এবং তাহার স্ত্রী শরিফা আক্তারদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে মমতাজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্য বাশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করতে থাকলে মমতাজ উদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা ভিকটিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী স্থানীয় লোকদের সহায়তায় মমতাজ উদ্দিনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ময়মনসিংহ সেনানীবাসে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে। উক্ত ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ভিকটিমরে স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ তার দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন। যাহা কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ৮৪ তাং-২৬/০৩/২৩ খ্রি. ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
আপনার মতামত লিখুন :