খাজা উসমান খাঁ পেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫ গুণীজন

স্টাফ রিপোর্টার : খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড -২০১৯ ও ২০২১ অর্জনকারীদের প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়েছে। বৃহত্তর জেলার (ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট) আঞ্চলিক পর্যায়ে খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এর বিজয়ী ৯ জন এবং ২০২১ এর বিজয়ী ৬ জনকে সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ সাহাব উদ্দিন মিলনায়তনে শিল্পকলা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে এ পেন অ্যাওয়াড প্রদান করা হয়। দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়াড আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং গুণীজনদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট জহিরুল হক খোকা।
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন, শিল্পকলা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্যে- গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, কবি ফাতেমা ইসরাত রেখা, ননী গোপাল সরকার, আফেন্দি নূরুল ইসলাম, সত্যজিৎ বিশ্বাস, নাজমা মমতাজ, মোছা. হাজেরা বেগম, গবেষণায়- ড. মো. আব্দুল মালেক, জাহাঙ্গীর আলম জাহান, সাংবাদিকতায়- আতাউল করিম খোকন, মো. শাহজাহান, এএসএম হোসাইন শাহীদ, এম মুখলেছুর রহমান এবং সমাজসেবায় পেয়েছেন মুহাম্মদ ফজলুল হক ও মুহাম্মদ আব্দুর রউফ লিটন। অ্যাওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, বিজয়ীদের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ ও ২০২১ সালে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।
দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়াড এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম.এ. জিন্নাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-৩ সামীমা আক্তার, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ.কে.এম.আবদুর রফিক, মানবাধিকার জোটের সভাপতি এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, শম্ভুগঞ্জ জিকেপি কলেজের নির্বাহী পরিচালক লায়ন ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, সাপ্তাহিক রাজগৌরীপুরের উপদেষ্টা সম্পাদক আজম জহিরুল ইসলাম, ক্রিয়েটিভ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার।
প্রসঙ্গত, খাজা উসমান খাঁ ছিলেন বারো ভূঁইয়্যাদের একজন ও বাংলার সর্বশেষ আফগান সর্দার। তার ঐতিহাসিক দুর্গ ছিল ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বোকাইনগরে। ২০১৯ সাল থেকে এসিক অ্যাসোসিয়েশন ও ক্রিয়েটিভ অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে দুই বছর পর পর এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।