রঞ্জন মজুমদার শিবু : বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেছেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজকে আমি এই চেয়ারে বসতে পেরেছি। এই অবদান মুক্তিযোদ্ধাদের। যারা জীবন বাজি রেখে ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছেন। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধায় নগরীর ছোট বাজার মুক্ত মঞ্চে ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার আলো বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করা ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরন করা। কেননা আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলার কেউ থাকবেনা। তাই নতুন প্রজন্মের বুকের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধারন করতে হবে এবং তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিহাসে আপনাদের নাম লিখেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কালীন আপনাদের বীর গাঁথা ইতিহাস লেখনি আকারে আমাদের দিন আমরা তা বই আকারে প্রকাশ করব। তিনি বলেন, রাজনীতির সাথে সাথে আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করতে হবে। বাংলার সংস্কৃতি ধারণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। রাজনীতির পাশাপাশি সংস্কৃতি ধারণ করেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন চলচিত্র পরিচালক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাছির উদ্দিন ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি আবু সায়েম, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভ’ঞা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড জেলা শাখার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বিলকিছ আক্তার রুমা ও মুক্তিযোদ্ধা পল্লী শাখার সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. ফজলে রানার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদেকুর রহমান, সেক্টর কমান্ডার্স ফেরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মোমেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সরকার, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু তাহের, কাজী আজাদ জাহান শামীম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এডভোকেট মোঃ আবুল কাসেম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকল শহীদদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :