বিদ্যুতের লোডশেডিং এ অতিষ্ট শ্যাামগঞ্জ ও পূর্বধলার জনগন


swadesh sangbad প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ৪:১৮ অপরাহ্ন /
বিদ্যুতের লোডশেডিং এ অতিষ্ট শ্যাামগঞ্জ ও পূর্বধলার জনগন

তিলক রায় টুলু পূর্বধলা থেকেঃ
নেত্রকোনার পূর্বধলা ও শ্যামগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং এ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একদিকে চলছে তীব্র দাবদাহ আর এর সাথে পাল্লাদিয়ে চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং । রোদ আর ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারন মানুষ। আর এর সাথে চলে সারাদিনে বিদ্যুতের লোকোচুরির খেলা। সারাদিনে বিদ্যুৎ কতবার যায় আর আসে তা গুনে রাখা সম্ভব না। এই তীব্র গরমের মধ্যে ১০/১৫ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ আসলে আবার ঘন্টা ২ ঘন্টার জন্য চলে যায়। সারা দিনে ৪/৫ ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকে না বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান গ্রাহকরা।
এদিকে বিদ্যুতের চরম লোডশেডিংএর কারনে জনজীবনে হাসপাস উঠেছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও ছোট ছোট শিশুরা নিদারুন কষ্ট করছে। তাছাড়া রাতের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকার কারনে রাতে ঘুমাতে পারছে না সাধারন মানুষ। অপর দিকে সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ছাত্র/ছাত্রীরা লেখা পড়ায় বসানোই যাচ্ছে না। তা ছাড়া বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল ছোট বড় কলকারখানা গুলি বন্ধ হওয়ার পথে। বাড়ছে বেকারত্বেও সংখ্য।
বিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানাগেছে পূর্বধলায় ৬৭ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৭/১৮ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৪/৬ মেগাওয়াট । শ্যামগঞ্জ ৩৩ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৯ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ২/৩ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি থাকায় দিনে রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ ভয়াবহ লোডশেডিং কারনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়ির লোকজন চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হারাধন সাহা জানান সারাদিনে বিদ্যুৎ কতবার যায় আর আসে তা বলা মুশকিল। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ২/৩ ঘন্টা পর আর একবার দেখা গেলে স্থায়ীত্ব আধাঘন্টা থাকে তারপর আবার চলে যায়। এভাবে সারাদিনে বিদ্যুতের লোকোচুরি খেলা চলে।
মাছ ব্যবসায়ী বিশ^ কুমার পাল জালান বিদ্যুতের অভাবে বরফ করা যাচ্ছে না। ফলে অনেক মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সারাদিনে বিদ্যুৎ কতবার যার আার আসে তার হিসাব রাখা দায়। সবচেয়ে বেশি কষ্টের ব্যাপার হলো রাতে যখন ঘুমাতে যাই তখন কারেন্ট থাকে না। তখন কষ্ঠের সীমা থাকে না। সবচেয়ে বেশি কষ্ট শিশু বাচ্ছাদের।
তাছাড়া সারাদিনে তো বিদ্যুৎ থাকেই না তার উপর বিল করা হচ্ছে আগের মতো। এ গুলো নিয়েও মানুষের মাঝে চরম অসস্তোষ দানা বাঁধছে। গত ২/৩ মাস আগেও বিদ্র্যতের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। বর্তমানে বিদ্যুতের অবস্থা খুবই খারাপ। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে শ্যামগঞ্জ
র্পূবধলা অঞ্চলের মানুষের সাথে বিদ্যুৎ বিভাগ বিমতাসুলব আচরন করছে।
গৃহিণী রিক্তা রানী জানান অব্যহত লোডশেডিং এর কারনে আমরা চরম অশান্তির মধ্যে আছি। দিনে যে কতবার বিদ্যুৎ যার আর আসে তা বলা মশকিল। এর চেয়ে বড় কষ্টের রাতের লোডশেডিং । রাতে যখন মানুষ ঘুমাতে যাবে তখনই বিদ্যুৎ থাকে না। রাতেই ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পর ছেলে মেয়েরা পড়াশুনা করতে চায়না। সামনে আমাদের শারদীয় দূগোৎসব এ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে পুজার আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ শ্যামগঞ্জ অঞ্চলের এজিএম মোঃ গোলাম কবির ভোরের কাগজকে জানান নেত্রকোনায় কোন বিদ্যুৎ উদপাদন কেন্দ্র নেই। ময়মনসিংহ দুইটি বিদ্যুৎ উদপাদন কেন্দ্র থেকে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ পাই । বতমানে দুইটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট গরমের কারনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় উদপাদন কম হচ্ছে, অপর ইউনিটে কাঁচা মালের ঘাটতির কারনে উদপাদন কম হওযায় লোডশেডিং হচ্ছে। এ ছাড়া গরমের কারনে বিদ্যুতের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হওয়ায় এ লোডশেডি
হচ্ছে। উদপাদন বাড়লে আবার লোডশেডিং কমে যাবে।