ময়মনসিংহে ইউএসএআইডি’র জাতীয় হর্টিকালচার নীতি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত


swadesh sangbad প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ৪:৩২ অপরাহ্ন /
ময়মনসিংহে ইউএসএআইডি’র জাতীয় হর্টিকালচার নীতি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ঃ ময়মনসিংহে ইউএসএআইডি ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ লিংক এগ্রিকালচার পলিসি একটিভিটি প্রোগ্রামের আওতায় দিনব্যাপী জাতীয় হর্টিকালচার নীতি বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর দিঘারকান্দায় আসপাডা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় হর্টিকালচার নীতিমালার পর্যালোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ইসুভিত্তিক আলোচনা ও নীতিমালার পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছানোর উদ্দেশ্য আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রাক্তন ডিন ড. মোঃ গোলাম রাব্বানী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এগ্রিকালচারের সবচাইতে টেকনোলজি ব্যাপার হলো হর্টিকালচার সেক্টর। হর্টিকালচার খাতে প্রক্রিয়াজাতকরণে উৎসাহিত করতে প্রক্রিয়াজাতকরণ অবকাঠামো, প্রযুক্তি এবং আর্থিক সহায়তায় বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। একটি জাতীয় হর্টিকালচার একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন, যাতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বিকৃত পেশাদার কোর্সগুলি হর্টিকালচারে প্রদান করা যায় এবং কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে হর্টিকালচারের জন্য একটি বিশেষ ফ্যাকাল্টি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। হর্টিকালচার সেক্টরের বৃদ্ধির জন্য সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে আর এন্ড ডি কার্যক্রমে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা উচিত।
ডিএই, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. লাইজু সালমা এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রক্তন ডিন ড. মোঃ আব্দুর রহিম, ডিএই ঢাকার হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ কে জে এম আব্দুল আউয়াল, ড. পিয়ার মোহাম্মদ, গর্ভমেন্ট লিয়াজো এ্যাডভাইজার, ফীড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি লিংক এগ্রিকালচারাল পলিসি এ্যাক্টিভিটি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমান, পলিসি লিংকের সিনিয়র ম্যানেজার খালেদা আক্তার, ম্যানেজার মামুনুল ইসলাম।
কর্মশালায় জাতীয় হর্টিকালচার নীতি সমৃদ্ধিকরণের কী-নোট উপস্থাপনা করেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসালটেন্ট এন্ড প্রফেসর অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুর রহমান। পরে উপস্থাপনার উপর ৪ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দলগত পর্যালোচনা ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়। পর্যালোচনা হতে বিভিন্ন বিষয় উত্থাপিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, মাঠের ফসল ঝুকির মধ্যে রয়েছে। হর্টিকালচার ক্রপ আগামী দিনের ফসল। অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া যায় এমন ফসলের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পানি দিয়ে বোর চাষ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা এটা লাভ জনক নয়। তিনি আরও বলেন, জোর করে কোন ফল পাকানো যাবে না। জমিতে কি পরিমান চাষ করা যাবে সে বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করতে হবে। কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে আমাদের পলিসির মধ্যে আশা দরকার।
উক্ত কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ব্যাংক, বিটাক, মৎস ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত ও বিপনণ প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।