স্টাফ রিপোর্টার : মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ-এর অধীনে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি ও সমমানের) পরীক্ষার ফলাফল বোর্ড কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রকাশ করা হয়। ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৪৪জন, জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে আছেন মেয়েরা। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবছর পাশের হার কম। এ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চার জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ৭৫ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৪২৬ জন। এদের মধ্যে মেয়ে পাস করেছেন ২৮ হাজার ৫০৩ জন। পাসের হার ৭১ দশমিক ১৯ শতাংশ। ছেলে পাস করেছে ২৪ হাজার ৯২৩ জন। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে শেরপুর জেলা পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮ হাজার ৬৩৮জন, পাশ করেছে ৬ হাজার ২৮৩ জন, পাশের হান ৭২.৭৪ শতাংশ। ময়মনসিংহ জেলা পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩৭ হাজার ৪৫১জন, পাশ করেছে ২৬ হাজার ৮৭৭ জন, পাশের হান ৭১.৭৭ শতাংশ। জামালপুর জেলা পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৫ হাজার ৭৪২জন, পাশ করেছে ১০ হাজার ৯৩০ জন, পাশের হান ৬৯.৪৩ শতাংশ। নেত্রকোনা জেলা পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ হাজার ১৪জন, পাশ করেছে ৯ হাজার ৩৩৬জন, পাশের হান ৬৬.৬২ শতাংশ।
এবোর্ডে ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে নগরীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ। এ কলেজ থেকে এক হাজার ২৪৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে এক হাজার ২২৫ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৪৪ জন। পাশের হার ৯৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া মারিয়া জান্নাত বলেন, কঠোর পরিশ্রমের সফলতা ফলাফলের মাধ্যমে পেয়েছি। সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি। এ সফলতা ধরে রাখতে আরও কঠোর অধ্যাবসায় অব্যাহত রাখবো। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মফিজুন নূর খোকা বলেন, আমরা ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে বরাবরের মতো এবারও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছি। তবে এবছর সবার ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের শুধু বইয়ের মধ্যে ব্যস্ত রাখি না। তাদের নৈতিকভাবেও গড়ে তোলার চেষ্টা করি। ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল বলেন, ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৪২৬ জন। ফেল করেছেন ২৮ হাজার ৩২৫ জন। যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৪৪ শিক্ষার্থী। তিনি আরও বলেন, পাশের হার এবং জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে। মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৮৩৯ জন। ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৪০৫ জন।
আপনার মতামত লিখুন :