ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা কলাকান্দা গ্রামে পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বে ৫ জনকে পিটিয়ে ও কৃুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মানিক নামে এক যুবকের দুই হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে । এ ঘটনায় থানায় অেিভযোগ দেওয়া হয়েছে।
থানা পুলিশ ও পারিবারীক সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামে মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে শওকত হোসেন জুয়েল ও উবায়দুর রহমান মানিক নামে দুই ভাইয়ের মধ্যে পৈত্তিক সূত্রে পাওয়া ৮৩ শতাংশের একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটি দখলে ছিল বড় ভাই জুয়েল ও তার লোকজনের কাছে। ছোট ভাই উবায়দুর রহমান মানিক পুকুরের কাছে গেলেই তাকে মারধর করা হত। এ নিয়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে পরিবারের মধ্যে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ঘটনার দিন দুপুরে ছোট ভাই মানিক ও তার ছেলে নিয়ে পুকুরে যাওয়া যায়। এ সময় অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পিটিয়ে মানিকের দুই হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে প্রতিবেশি আজাহারুল ইসলামেরও হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয় ও তার স্ত্রী পারুল আক্তারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় মানিকের ছেলে রাফিনূর ও তার এক বন্ধুকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পারুল আক্তারের অবন্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
উবায়দুর রহমান মানিকের স্ত্রী রেহানা ফেরদৌস ভাষ্য, তাদের পৈত্তিক সূত্রে পাওয়া পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে শওকত হোসেন জুয়েল একাই দখলে রেখেছেন। তার স্বামী পুকুরের একটি অংশ দখলে নিতে গেলেই তাকে মারধর করা হয়। ঘটনার দিন তার ছেলেকে নিয়ে পুকুরে গেলে তাদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানো হয়। তার স্বামীর দুই হাত ভেঙ্গে দেওয়াসহ ৫ জনের ওপর হামলার কথা জানান তিনি।
হামলার কথা স্বীকার করে প্রতিপক্ষ শওকত হোসেন জুয়েল বলেন, তার ছোট ভাই মানিক অন্যায়ভাবে লোকজন নিয়ে তার অংশ দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় কে বা কারা তাদের ওপর হামলা চালায় এটা তার জানা নেই।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, বিষয়টি জেনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :