স্টাফ রিপোর্টার : রবিবার (২ অক্টোবর) ১৫ আশ্বিন সকাল সাড়ে ৬টায় শ্রী শ্রী শারদীয়া মহাসপ্তমী বিহিত পূজা শুরু। শুরুতে রয়েছে শ্রী শ্রী চন্ডী পূজা, চন্ডী পাঠ, স্ববস্তুতি পাঠ। নবরাত্রির সপ্তম তিথি। শ্রী শ্রী দুর্গা দেবী সপ্তমী তিথিতে পূজিত হন ভয়ঙ্করী দেবী কালরাত্রি রূপে। দেবীর ভয়াল রূপ অশুভ আতœা, আসুরিক সত্ত্বা, ভূত, প্রেত, নেতিবাচক এবং অশুভ শক্তি ধ্বংসকারী। সপ্তমী তিথিতে নীল ফুলে দেবী কালরাত্রির (দেবী দুর্গার) পূজা করলে শনির শুভ ফল প্রাপ্তি হয়। এদিন সকালে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুগাদেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। পরে সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্তা। পূজান্তে অঞ্জলী প্রদান। শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধায় ছিল শ্রী শ্রী দুর্গা দেবীর কল্পারম্ভ, সায়ংকালে বোধন, আমন্ত্রণ অধিবাস (ষষ্ঠী পুজা) এর মাধ্যমে নগরীর দূর্গাবাড়িস্থ মন্দির সহ সকল মন্দিরে শ্রী শ্রী দূর্গাপূজা শুরু হয়েছে। দুর্গাবাড়ী মন্দিরে শ্রী শ্রী দূর্গাদেবীর বোধনে পুরোহিত ছিলেন শ্রী অরুণ ভট্টাচার্য্য। আগামীকাল সোমবার ১৬ আশ্বিন ১৪২৯ বাংলা (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টায় মহাষ্টমী (বিহিত) পূজা শুরু। সকাল সাড়ে ১০টায় টায় পুস্পাঞ্জলী প্রদান। এছাড়া নগরীর রামকৃষ্ণ আশ্র ও মিশনে সকাল ১১টায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধিপূজা বিকাল ৪.৪৪মি. গতে ও সমাপন ৫.৩২মি. মধ্যে। এর পরদিন মঙ্গলবার ১৭ আশ্বিন ১৪২৯ বাংলা (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টায় মহানবমী পূজা শুরু। পূজা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় পুস্পাঞ্জলী প্রদান ও পূজা শেষে যজ্ঞানুষ্ঠান। রাত ৯টায় আরতি। সর্বশেষে বুধবার ১৮ আশ্বিন ১৪২৯ বাংলা (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬ টার মধ্যে দেবীর তরে দশমী বিহিত পূজা। পূজা সমাপনান্তে দর্পন বিসর্জন। বিসর্জনান্তে অপরাজিতা পূজা এবং ৩.৩০ মিনিটে প্রতিমা বিসর্জন। সন্ধ্যায় রয়েছে শান্তিজল গ্রহণ ও বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়।
এবারে দেবীর আগমন-গজে যার অর্থ শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা এবং গমন-নৌকায় যার অর্থ শস্য বৃদ্ধি ও জল বৃদ্ধি। পাঁচদিন ব্যাপী এই উদযাপনে মন্দিরে মন্দিরে শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল ভক্ত ও প্রতিবেশী অন্যান্য সম্প্রদায়ের বন্ধুগণের প্রতি বিশেষভাবে আবেদন জানিয়েছেন আর্যধর্ম জ্ঞান প্রদায়িনী সভা (ধর্মসভা) ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এদিকে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় মন্ডপগুলোতে ইতোমধ্যেই আইনশৃংখলা বাহিনীর টহলের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ বছর জেলায় ৮শ’ ১৪টি পূজামন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। শান্তি শৃংখলা রক্ষায় মন্ডপগুলোতে ইতোমধ্যেই আইনশৃংখলা বাহিনীর টহলের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।