স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের নান্দাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা রুজু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ০২ আসামীকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ। র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৩ মার্চ রাতে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন মনোহরপুর গ্রাম থেকে উক্ত হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী মোঃ আলম (২২) ও আব্দুল হামিদ (২৮) উভয় পিতা- মোঃ আব্দুল আওয়াল, উভয় সাং- আত্মারামপুর, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে গ্রেফতার করে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, দু’ পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে তারা ভিকটিম আব্দুল রাজ্জাককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয়ভাবে জানা যায়, আত্মারামপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে আলম মিয়া ০১ বছর পূর্বে একই উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের জামতলা গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের মেয়ে সুমা আক্তারকে বিবাহ করে। বিয়ের পর থেকেই আলম যৌতুকের জন্য সুমা আক্তারকে নির্যাতন করে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে স্থানীয় মধুপুর বাজারে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশী বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ বাড়ি ফিরে আসার পথে কথা-কাটাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি এবং পরে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে আত্মারামপুর গ্রামে। এই সময় দুপক্ষের মারামারি ঠেকাতে এগিয়ে আসেন মৃত মাইজ উদ্দিনের ছেলে ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আব্দুর রাজ্জাক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন । দ্রুত আত্মীয় স্বজনরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের ছোট ভাই মোঃ বাবুল মিয়া @ বাবলু মিয়া @ বাবু (২৪) বাদী হয়ে গত ০১ মার্চ রাতে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।এখানে উল্লেখ্য যে ভিকটিম আব্দুল রাজ্জাক ও আসামীরা একে অপরের প্রতিবেশী ছিল। একই গ্রামে বাড়ি।