স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের নান্দাইলে গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১৪, ময়মনসিংহ। র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০১ ফেব্রুয়ারী/২৩ ভোরে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানাধীন শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকা হতে আসামী মোঃ আমাউল্লাহ (১৯), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-খারোয়া, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ’কে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য মামলার অপর এক আসামি সুমন মিয়াকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার মাধ্যমে কোন নারী/শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার না হয় সে প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায় গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ সকালে ভিকটিম বাড়ির থেকে বের হয়ে দুপুর দেড়টার সময় গফরগাঁও রেল স্টেশনে অবস্থানকালে এই সুযোগে সুমন নিয়া নামের একজন ভালুকায় ভিকটিমকে পৌঁছিয়ে দিবে বলে মোটরবাইকে করে ভিকটিমকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর, সুমন মিয়া আমান উল্লাহ নামের একজনকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে, একই তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নান্দাইল থানার ১১ নং খারুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত রাজাপুর গ্রামের নতুন কাঁচা রাস্থার পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমকে দুইজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর, রাত অনুমান সাড়ে ৭টর দিকে উক্ত আসামীদ্বয় ভিকটিমকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারস্থ কালী মন্দিরের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর,২০২২খ্রি তারিখ সময় ২২.২৫ ঘটিকায় নান্দাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধন /২০০৩) এর ৯(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার আসামীকে গ্রেফতার করে।
আপনার মতামত লিখুন :