স্টাফ রিপোর্টার : নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রথমে প্রয়োজন সচেতনতা। আর এই সচেতনতা তৈরিতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ময়মনসিংহ ত্রিশাল উপজেলার রাশেদুল ইসলাম কনফারেন্স হল রুমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ” শীর্ষক কর্মশালায় এ আলোচনা হয়।
কর্মশালায় ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই সবকিছু যাচাই-বাছাই করে যেতে হবে। নিয়ম মেনে বিদেশ গেলে যে কোনো বিপদে সরকার পাশে থাকে, পাশাপাশি নানা বেসরকারি সংস্থাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দালালের প্রতারণা। শুধু আইন দিয়ে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রমের ময়মনসিংহ জেলার ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর মোঃ নাসিম উদ্দিন। ওয়ার্কশপে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যম কর্মী, ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিদেশ-ফেরত বাংলাদেশিরা যেন দেশে এসে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ব্র্যাক। ২০১৭ থেকে ২০২২ এই সময়ে প্রত্যাশার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন শেষে এখন দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ইম্প্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্ট্রিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় অন্তত: ১০ হাজার জন মানুষ বিমানবন্দরে সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি ৭ হাজার ৭০০ জন বিদেশ-ফেরত মানুষ যেন ফের দেশে আয় করতে পারেন সেজন্য তাদেরকে ধাপে ধাপে সহায়তা করা হবে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা এবং সারাবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিও ব্র্যাক, ১৯৭২ সালের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দেশে ও দেশের বাইরে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কর্মসূচি হল মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। ব্র্যাকের এই প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে দেশের অভিবাসনপ্রবণ জেলাসমূহে বিদেশগামী নারী ও পুরুষের মাঝে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অভিবাসন খাতে অ্যাডভোকেসি ও নানাবিধ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :