তিলক রায় টুলু : পূর্বধলায় চৈত্রের প্রথম ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি গাছপালা রবি শষ্যের ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর রাত ৪ টার দিকে মসুলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয় এরং এর পর পর শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যায় এতে রবিশষ্য ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
ঝড়ে উপজেলার গোহালাকান্দা, খালশাউর, নারান্দিয়া, বিশকাকুনি ইউনিয়নসহ ১১ টি ইউনিয়নের কমবেশী ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
শালদিঘা গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবির জানান চৈত্রের প্রথম ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ধান ক্ষেত গুলি শুয়ে পড়েছে। আধাাপাঁকা ধান ক্ষেত গুলি কাটার কোন সুযোগ নেই।
মাসকান্দা গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী শিলা বৃষ্টির কারনে রবিশষ্য, উঠতি ধানক্ষেত গুলি শুয়ে পড়েছে ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
গোহালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ফজল জানান গোহালাকান্দা ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে শিলা বৃষ্টির কারনে রবিশষ্য ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তা ছাড়া শালদিঘা হামিদপুর ও কামালপুর গ্রামে গাছপালা ও ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ ছাড়া খলিশাউর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি আধাপাঁকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
পূর্বধলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান গতকাল রাতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ফলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নারান্দিয়া, খলিশাউর ও গোহালাকান্দা ইউনিয়নে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে খলিশাউর ইউনিয়নের প্রতাপপুর, মাসকান্দা ও হাফানিয়া গ্রামে ফসলের বেশী ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তিনি আরো জানান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি আমরা জরিপ করছি। জরিপ শেষে বলা যাবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে।
পুর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা কাজ করছে। পরে সব শেষে বলা যাবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :