ময়মনসিংহে ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪ শত ৩১ জন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে


swadeshsangbad প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ৪:২০ অপরাহ্ন / ৭৭
ময়মনসিংহে ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪ শত ৩১ জন শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ উপলক্ষে ময়মনসিংহে মোট ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪ শত ৩১ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সাথে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় তিনি তথ্য জানান। কর্মশালায় সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে জাতীয় পুষ্টি সেবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ওরিয়েন্টেশনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, ময়মনসিংহ জেলায় ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৩টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা (গৌরীপুর, মুক্তাগাছা), ১৪৬টি ইউনিয়ন, ৪৩৮টি ওয়ার্ডে ৩৫১৯টি টিকাদান কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইনে ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী ৯৩৭১৩ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৮২৪৭১৮ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সিভিল সার্জন আরো জানান, এই ক্যাম্পেইনে মোট স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন ৭০৩৮ জন, প্রথম সারির সুপারভাইজার থাকবেন ৪৩৮ জন, দ্বিতীয় সারির সুপারভাইজার থাকবেন ১৪৮ জন। সিভিল সার্জন আরও জানান, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তির ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা রাখছে। এই ক্যাম্পেইনের ফলে শিশুদের অনেক রোগ কমে গেছে। ভিটামিন এ শিশুর শরীরকে যেমন প্রতিরক্ষা করে তেমনি অপুষ্টি থেকেও রক্ষা করে। সুস্থ্য জাতি গঠনে সময়মত শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৬ মাসের কম বয়সী শিশু ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশু ও অসুস্থ শিশুকেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। তিনি আরো বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালে কোন গুজবে কান দিবেন না। কোন কিছু হলে তাৎক্ষনিক আমাদের অবহিত করবেন। প্রাথমিক ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারলে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে না। এ বিষয়ে সকলকেই সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। তিনি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমকে সফল করে তুলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। স্বাভাবিক জ্বর বা কাশি হলে আতংকিত না হয়ে শিশুর পিতামাতাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ পরীক্ষিত কুমার পাড় এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন। মূল বিষয়বস্তুর উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সল আহ্মেদ। প্রেজেন্টেশন শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ জাবেদ হোসেন সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।